বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
সর্বশেষ বিশেষ সংবাদ জাতীয় সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফস্টাইল আইন-আদালত মতামত অন্যান্য
/ সারাদেশ

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অংশগ্রহণে বাঁধা দেয়া হবেনা- রংপুরে ড. বদিউল আলম মজুমদার


প্রকাশ :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অংশ গ্রহণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সংস্কার থেকে কোন রকম বাঁধা দেয়া হচ্ছে না। কিংবা কোন রকম বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে না।

অন্তর্র্বতী সরকারের সময়ে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের মাঠ থাকবে সমতল। সেভাবে নির্বাচন কমিশনকে গঠন করা হবে। থাকবে না কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। অধিকার বঞ্চিত মানুষ আদায় করবে তাদের অধিকার। সব দলের অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি অংশ গ্রহণ মুলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হউক সেই সুপারিশ আমরা করবো বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। 

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনে অযোগ্য না হলে সবার অংশ গ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। আমরা চাই, সব দলের অংশ গ্রহণে অর্ন্তভুক্তি মুলক, অংশ গ্রহণ মুলক নির্বাচন হউক এমন প্রত্যাশাই করি।নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাবনার কাজ প্রায় শেষ দিকে। হাজার প্রস্তাবনা এসেছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে চুড়ান্ত প্রস্তাবনা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সংস্কারের প্রস্তাবনা অন্তবর্তিকালীন সরকারের কাছে তুলে দেয়া হবে। এরপর সেই প্রস্তাবনা নিয়ে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসে আলোচনা করে পরবর্তিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটবে।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার গুরুত্বপূর্ণ দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বদিউল আলম মজুমদার।তিনি বলেন, অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন চাপে ছিল। এবার তেমন পরিস্থিতি নেই। নির্বাচন কমিশন এবার পক্ষপাত মুক্ত হবে। এবারের কমিশনে নির্বাচন কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান আরো বলেন, দেশের মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে অন্তর্র্বতী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য নির্বাচন সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। উৎসবের ভোট যাতে ফিরে আসে এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইভিএম মেশিন ছিল একটি কালো বক্স। অতীতের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো মেশিনের মাধ্যমে ভোট নিয়ে খেলা করেছে। এ দুর্বল পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য নয় মানুষ এটাকে গ্রহণ করেনি।

২৪-এর গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিপ্লবে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন রংপুরের শহীদ আবু সাঈদ। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের কারণে সারা দেশে আন্দোলন বেগবান হয়েছিল। যে কারণে শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। তার অবদান সারা দেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন, হালনাগাদ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। আমরা এসব বিষয়ে সুপারিশ করবো। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে। অতিতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের প্রভাবে প্রভাবিত করেছে, কেননা সেই নির্বাচন গুলো দলীয় সরকারের সময়ে হয়েছে। 

এসময় রংপুর জেলা সুজন সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সুজনের বিভাগীয় সমন্বয়ক রাজেস দে রাজু,লালমনিরহাটের মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা লিডার মোঃ শফিকুল ইসলাম কানু সহ রংপুর মহানগর ও জেলা সুজনের কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিলনায়তনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।