বগুড়ার টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবনের ১৬তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মামুনুর রশিদ (৩৫) নামে এক ওষুধ কোম্পানির ব্যবস্থাপক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে শহরের ঠেঙ্গামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামুনুর রশিদ বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের তেলিহারা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম মন্ডলের ছেলে। তিনি নোয়াখালীতে এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এসিআই ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন মামুনুর রশিদ। সেখানে স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজছিলেন। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্ত্রী। এরই মধ্যে সোমবার বিকালে বগুড়া শহরের মাটিডালি মোড়ের হোটেল মাহাথিরে একটি কক্ষ ভাড়া নেন। রাত ১০টার দিকে বাইরে যান এবং মধ্যরাতে হোটেলে ফিরে আসেন। ভোর ৪টার দিকে আবার হোটেল থেকে বের হন। ৫টার দিকে টিএমএসএস মেডিক্যালের ১৬তলার রেলিং থেকে লাফিয়ে পড়েন।
ওই হাসপাতালের কর্মী ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টার পর প্রথমবার ভবনের ১৭তলার রেলিং ধরে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করেন মামুনুর রশিদ। তখন উপস্থিত লোকজন তাকে থামান। ভোর ৫টার দিকে ১৬তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
পরিদর্শক একেএম মঈন উদ্দীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ১৬তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করছে পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার স্ত্রীকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি নোয়াখালী থেকে রওনা হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দাম্পত্য কলহের জেরে মামুনুর রশিদ মানসিক চাপে ছিলেন। এর জের ধরে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছি আমরা।’