জনবল সংকটের কারণে কৃষকের দোড়গোড়ায় সেবা প্রদানে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে লালমনিরহাট বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেবা কার্যক্রমে। ফলে নির্দিষ্ট দুরত্ব না মেনে যত্রতত্র এসটিডবিøউ কানেকশন দিয়ে পানি উত্তোলন করে সেচ প্রদান করা হচ্ছে সর্বত্র। এতে একদিকে ভ‚-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নিমে গিয়ে ভবিষ্যতে এলাকা মরূভ‚মিতে পরিনত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লালমনিরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভ‚-গর্ভস্থ পানি সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য সেচ পাম বসানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দুরত্ব মানার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। একটি ডিপ পাম্প থেকে অপর ডিপ পাম্পের দুরত্ব হবে ২৬০০ ফিট। একটি ডিপ পাম্প থেকে একটি শ্যালো পাম্পের দুরত্ব হবে ১৪০০ ফিট এবং একটি শ্যালো পাম্প থেকে অপর একটি শ্যালো পাম্পের দুরত্ব হবে ৮৫০ ফিট। কিন্তু এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বিধান মানছে না কেউই বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার অধিনস্থ ১০ জন কর্মকর্তা- কর্মচারীর স্থলে শুধুমাত্র একজন কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। বাকি ৯টি পদই রয়েছে ফাঁকা । ফাঁকা পদগুলো হলো- সহকারী প্রকৌশলী ১ জন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ১ জন, হিসাব রক্ষক ১ জন, ক্যাশিয়ার ১ জন, প্রধান সহকারী ১ জন, গুদাম রক্ষক ১ জন, পিওন ১ জন, দারোয়ান ১ জন এবং নৈশপ্রহরী ১ জন।
তিনি আরো জানান, তার দ্বিতল ভবন দপ্তরের নিচতলা প্রকল্পের মালামাল সংরক্ষনের জন্য গুদাম ঘর থাকলেও নেই গুদাম রক্ষক। নেই নৈশপ্রহরী । তাই বাধ্য হয়েই তিনি বসবাস করছেন অফিসেই। পাহারা দিচ্ছেন গুদামের মালামাল সামগ্রী।