চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার মেহেদীবাগস্থ লুসি স্কয়ারে গত ৮ নভেম্বর বিকালে সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয় । সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চিফ অপারেটিং অফিসার, সাবেক সচিব হোসনে আরা বেগম এনডিসি।
প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম।
বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব্ বোর্ডের সংস্কার কমিটির সদস্য ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান, দি পূর্বকোণ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরি, নেফ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ডাঃ আইয়ুব আলি চৌধুরি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নেফ্রোলজিস্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা,চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি মোঃ মুসলিম, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ অং সু প্রু মারমা, বিএমডিসির সদস্য ডাঃ খুরশিদ জামিল চৌধুরি,সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম ডা:জাহাঙ্গীর আলম,বিএসআরএম এর চেয়ারম্যান আলি হোসেন আকবর আলি।চট্টগ্রাম সেন্টারের পরিচালক নুরুল আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন এসবিএফ এর হেড অব অপারেশনস ইঞ্জিনিয়ার আল ইমরান সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেফ্রোলজিষ্ট, ইউরোলজিষ্ট সহ চট্টগ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য সেবা খুবই মানবিক একটি বিষয়। মানবিক দিক না থাকলে শুধুমাত্র টাকা দিয়ে ভালো চিকিৎসা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন,রোগীদের যে সেবা দরকার আর তারা যা পাচ্ছেন এর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।দেশে সরকারি- বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান মিলে রোগীদের ওয়ান থার্ড স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারছেন না। দিনদিন চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন এই ব্যয় সুলভ করার প্রচেষ্টা নিয়েছে।
উল্লেখ্য, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন দেশের ২১ টি জেলায় ২৩টি কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের স্বপ্নমূল্যে ও মানসম্মত ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করে আসছে। চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বর্গফুট আয়তনের সেন্টারটিতে প্রথম পর্যায়ে ১০টি বেড স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো ১০টি বেড স্থাপন করা হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন চলতি বছরের ১০ মাসে ৮২ হাজার ১৫ টি ডায়ালাইসিস সম্পন্ন করেছে। ২০২৩ সালে এই সংস্থাটি ৯৪হাজার ৬২টি ডায়ালাইসিস সম্পন্ন করেছে।